পিঁপড়া বিদ্যা ১
১০৩ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে বেলকুনির গ্রীল ধরে ইজিচেয়ারে বসে আছি।
দুটো লাল পিঁপড়া গ্রীলের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে।
জ্বরের মাত্রা বেড়ে গেলে আমার হ্যালুসিনেশন হয়। পিঁপড়েরা দুজনে হাটতে হাটতে কি যেনো কথা বলছে, আমি কথাগুলো হালকা শুনতে পাচ্ছি। আরো মনোযোগ বাড়িয়ে দিতেই ওদের কথা স্পষ্ট শুনতে পেলাম।
দুজন বয়স্ক পিঁপড়া। হানিমুন করতে যাচ্ছে।
কোথায় যেন পড়েছিলাম পিঁপড়েরা নিজের এলাকায় কখনো সেক্স করে না।
এই কাজ করতে ওরা অন্য এলাকায় যায়।
.
সামনের পিঁপড়েটা পুরুষ। পিছনে তার স্ত্রী তাকে অনুসরণ করছে।
স্বামীর বয়সের তুলনায় স্ত্রী ভরা যুবতী।
বোধহয় রানী পিঁপড়ে হবে।
কারন রানী পিঁপড়েরা কাজ করেনা। ওরা বাচ্চা দেখাশুনা করে। ঘরবাড়ি সামলায়। খাদ্যের স্তুপ পর্যবেক্ষন করে।
রানী পিঁপড়াদের জন্মই হয় একটু আলাদা ভাবে। ওদের আকার আকৃতি মহিলা শ্রমিক পিঁপড়াদের থেকে একটু বড় হয়।
আর রানী পিঁপড়াদের বুকের সাইজ অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় বড় হয়।
.
এইতো মুরুব্বির কথা শুনতে পাচ্ছি, মুরুব্বি পিঁপড়া তার স্ত্রী কে ডাকছে,
- কইরে ভেপু একটু তাড়াতাড়ি আয়,আবার ফিরতে হবে তো।
পিঁপড়ার স্ত্রীর নাম ভেপু।
ভেপু জবাব দিল না।
মুরুব্বি আবার ডাক দিলেন,
ভেপু রানী দৌরে এসে স্বামীর হাত ধরল।
- মুরুব্বি স্ত্রীকে ধমক দিয়ে বললেন,
- এই মহিলা? তর হিজাব কই?
ভেপু রানী বলল,
মাফ করে দিও স্বামী, ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। হিজাব খুঁজে পাইনি।
- কিসের পানি ঢুকছে ঘরে ?
- মুতের পানি।
- মানে?
- কোন ইতর জানি বাড়ির উপর মুইতা দিছিলো।
.মানুষ জনের আক্কেল নাই। যেখানে সেখানে মুতে।
.
ঠিকাছে কোনো পরপুরুষের দিকে তাকাইস না। মাটির দিকে তাকায়া হাটবি। এমনিতেই হিজাব নাই। কেউ তাকায়া থাকলে তার দিকে ঘুরে তাকাবি না।
.
আর "হানিচান" থাইকা ঘুইরা আইসা তরে হিজাব বানায়া দিমু। হিজাব পইরা ঘরের মধ্যে বইসা থাকবি।
ভেপু জিজ্ঞেস করল,
- আচ্ছা ঘরের মধ্যে তো কেউ থাকেনা। সেখানে হিজাবের দরকার কি?
- কেউ থাকেনা মানে? ঘরের মধ্যে হাজার হাজার ফেরেশতা থাকে। তারা কি দেখেনা? আল্লায় কি তাদের চোখ দেয় নাই?
ওড়না ছাড়া ঘরের মধ্যে ঘুইরা বেড়াস। এগুলা ফেরেশতার চোখে পরেনা?
- তুমি কি পাগল হইয়া গেছো স্বামী ?
- পাগল হব কেন?
ভেপু স্বামীকে জিজ্ঞেস করল,
- আচ্ছা ফেরেশতারা কখনো পাপ করে?
- আল্লার হুকুম ছাড়া ওরা এক চুল নড়ে না। পাপ করবো কই থাইকা।
- পরের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকা ভাল কাজ না খারাপ কাজ?
- খারাপ কাজ।
- ফেরেশতারা কখনো খারাপ কাজ করে?
- না।
- তাহলে আমার দিকে পুরুষ ফেরেশতারা কেন তাকাবে? তারা তো জানেই অন্যের স্ত্রীর দিকে তাকালে পাপ হয়।
.
মুরুব্বি মাথা চুলকাচ্ছে। ভেপুর যুক্তির কাছে সে হারতে চাইছে না।
কিছুক্ষন চিন্তা করে বলল,
- পুরুষ ফেরেশতা না থাকলেও মহিলা ফেরেশতা থাকে।
ভেপু অট্ট হেসে বলল,
- তাহলে তো তোমার পর্দা করা দরকার।
রাতে যেভাবে ফরজ উদাম কইরা ঘুমায়া থাকো।
মহিলা ফেরেশতারা দেখলে তারাও পাপি হইব।
- চুপ থাক। বেশি কথা বাড়াইস না।
ফেরেশতাগো কোন লিঙ্গ থাকেনা ।
- তাইলে তো আরো সমস্যা।
- একটা থাপ্পড় দিমু কইলাম। আরেকটা কথা বললে।
তাড়াতারি চল। বেলা ডুইবা গেলো।
.
ভেপুর জামাইয়ের রেস্ট্রিকশনগুলো
কোথায় গেলো কে জানে?
ওদের পিছু পিছু যেতে পারলে খুব মজা হতো।
ভেপুর স্বামী ভেপুকে আড়াল করে বলত, পিছনের দিকে তাকাইস ভুলেও। মনে হয় একটা পরপুরুষ তরে দেইখা ফালাইছে।
আমি ভেপুর স্বামীর কথা শুনে হেসে কুটি কুটি হতাম।
.
লেখকঃ নূর প্রদীপ্ত
.
[ মাথায় যখন কোনো কিছুই আসেনা তখন এই গল্প]পিঁপড়া বিদ্যা ১
.
১০৩ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে বেলকুনির গ্রীল ধরে ইজিচেয়ারে বসে আছি।
দুটো লাল পিঁপড়া গ্রীলের উপর দিয়ে হেটে যাচ্ছে।
জ্বরের মাত্রা বেড়ে গেলে আমার হ্যালুসিনেশন হয়। পিঁপড়েরা দুজনে হাটতে হাটতে কি যেনো কথা বলছে, আমি কথাগুলো হালকা শুনতে পাচ্ছি। আরো মনোযোগ বাড়িয়ে দিতেই ওদের কথা স্পষ্ট শুনতে পেলাম।
দুজন বয়স্ক পিঁপড়া। হানিমুন করতে যাচ্ছে।
কোথায় যেন পড়েছিলাম পিঁপড়েরা নিজের এলাকায় কখনো সেক্স করে না।
এই কাজ করতে ওরা অন্য এলাকায় যায়।
.
সামনের পিঁপড়েটা পুরুষ। পিছনে তার স্ত্রী তাকে অনুসরণ করছে।
স্বামীর বয়সের তুলনায় স্ত্রী ভরা যুবতী।
বোধহয় রানী পিঁপড়ে হবে।
কারন রানী পিঁপড়েরা কাজ করেনা। ওরা বাচ্চা দেখাশুনা করে। ঘরবাড়ি সামলায়। খাদ্যের স্তুপ পর্যবেক্ষন করে।
রানী পিঁপড়াদের জন্মই হয় একটু আলাদা ভাবে। ওদের আকার আকৃতি মহিলা শ্রমিক পিঁপড়াদের থেকে একটু বড় হয়।
আর রানী পিঁপড়াদের বুকের সাইজ অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় বড় হয়।
.
এইতো মুরুব্বির কথা শুনতে পাচ্ছি, মুরুব্বি পিঁপড়া তার স্ত্রী কে ডাকছে,
- কইরে ভেপু একটু তাড়াতাড়ি আয়,আবার ফিরতে হবে তো।
পিঁপড়ার স্ত্রীর নাম ভেপু।
ভেপু জবাব দিল না।
মুরুব্বি আবার ডাক দিলেন,
ভেপু রানী দৌরে এসে স্বামীর হাত ধরল।
- মুরুব্বি স্ত্রীকে ধমক দিয়ে বললেন,
- এই মহিলা? তর হিজাব কই?
ভেপু রানী বলল,
মাফ করে দিও স্বামী, ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। হিজাব খুঁজে পাইনি।
- কিসের পানি ঢুকছে ঘরে ?
- মুতের পানি।
- মানে?
- কোন ইতর জানি বাড়ির উপর মুইতা দিছিলো।
.মানুষ জনের আক্কেল নাই। যেখানে সেখানে মুতে।
.
ঠিকাছে কোনো পরপুরুষের দিকে তাকাইস না। মাটির দিকে তাকায়া হাটবি। এমনিতেই হিজাব নাই। কেউ তাকায়া থাকলে তার দিকে ঘুরে তাকাবি না।
.
আর "হানিচান" থাইকা ঘুইরা আইসা তরে হিজাব বানায়া দিমু। হিজাব পইরা ঘরের মধ্যে বইসা থাকবি।
ভেপু জিজ্ঞেস করল,
- আচ্ছা ঘরের মধ্যে তো কেউ থাকেনা। সেখানে হিজাবের দরকার কি?
- কেউ থাকেনা মানে? ঘরের মধ্যে হাজার হাজার ফেরেশতা থাকে। তারা কি দেখেনা? আল্লায় কি তাদের চোখ দেয় নাই?
ওড়না ছাড়া ঘরের মধ্যে ঘুইরা বেড়াস। এগুলা ফেরেশতার চোখে পরেনা?
- তুমি কি পাগল হইয়া গেছো স্বামী ?
- পাগল হব কেন?
ভেপু স্বামীকে জিজ্ঞেস করল,
- আচ্ছা ফেরেশতারা কখনো পাপ করে?
- আল্লার হুকুম ছাড়া ওরা এক চুল নড়ে না। পাপ করবো কই থাইকা।
- পরের স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকা ভাল কাজ না খারাপ কাজ?
- খারাপ কাজ।
- ফেরেশতারা কখনো খারাপ কাজ করে?
- না।
- তাহলে আমার দিকে পুরুষ ফেরেশতারা কেন তাকাবে? তারা তো জানেই অন্যের স্ত্রীর দিকে তাকালে পাপ হয়।
.
মুরুব্বি মাথা চুলকাচ্ছে। ভেপুর যুক্তির কাছে সে হারতে চাইছে না।
কিছুক্ষন চিন্তা করে বলল,
- পুরুষ ফেরেশতা না থাকলেও মহিলা ফেরেশতা থাকে।
ভেপু অট্ট হেসে বলল,
- তাহলে তো তোমার পর্দা করা দরকার।
রাতে যেভাবে ফরজ উদাম কইরা ঘুমায়া থাকো।
মহিলা ফেরেশতারা দেখলে তারাও পাপি হইব।
- চুপ থাক। বেশি কথা বাড়াইস না।
ফেরেশতাগো কোন লিঙ্গ থাকেনা ।
- তাইলে তো আরো সমস্যা।
- একটা থাপ্পড় দিমু কইলাম। আরেকটা কথা বললে।
তাড়াতারি চল। বেলা ডুইবা গেলো।
.
ভেপুর জামাইয়ের রেস্ট্রিকশনগুলো
কোথায় গেলো কে জানে?
ওদের পিছু পিছু যেতে পারলে খুব মজা হতো।
ভেপুর স্বামী ভেপুকে আড়াল করে বলত, পিছনের দিকে তাকাইস ভুলেও। মনে হয় একটা পরপুরুষ তরে দেইখা ফালাইছে।
আমি ভেপুর স্বামীর কথা শুনে হেসে কুটি কুটি হতাম।
.
লেখকঃ নূর প্রদীপ্ত
.
[ মাথায় যখন কোনো কিছুই আসেনা তখন এই গল্প]
comment 0 Comments
more_vert